হাতালির নাম ডাকাতি, বাঘা হাওরের ভূমি চুরি শত বছর পরেও ইতিহাসে অনন্য নজির হয়ে থাকবে। কেন? গত শতকের চুরি-ডাকাতির ইতিহাসে প্রধান্য পাবে ভূমি ডাকাতি।
মোস্তাক আহমাদ দীন সম্পাদিত ও বাঙ্গালা পুলিশের ডেপুটি ইনস্পেকটর-জেনেরাল, এ, সি, ডালি, সি, আই, ই, প্রণীত “বাঙ্গালাদেশে যে সকল দুর্ব্বৃত্ত জাতি চুরি ডাকাইতি প্রভৃতি করে তাহাদের সম্বন্ধে পুস্তক”-পড়ে চুরি-ডাকাতির শতবছর পূর্বের ইতিহাস জানা গেল। এ বইয়ে আলোচ্য “ছাপ্পড় বাঁধ” এক দূর্বিত্ত সম্প্রদায়। যারা প্রধানত চুরি-ডাকাতি করতো এবং নকল মুদ্রা তৈরী করে প্রতারণা করতো। এমন অনেকগুলো শ্রেনী নিয়ে অপরাধের ধরণ বিষয়ক বই এটি।
আলোচ্য বিষয়- ছাপ্পড় বাঁধ বা অন্য কোন শ্রেনী নয়। গত শতকে বাংলায় আরো কতো, কতো ধরনের প্রতারণা, চুরি-ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে তার কি হিসেবে জানছি আমরা। কতো কতো শ্রেনীর মানুষ সেসব চুরি-ডাকাতি ও প্রতারণার সাথে সম্পৃক্ত হয়েছেন? তাদের ইতিহাস জানার বেশ দেরি হয়ে গেছে এরই মধ্যে।
আমার বিশ্বাস এই কনটেন্টের উপর কাজ করলে ‘ভূমি চুরি-ডাকাতি’ প্রাধান্য পাবে। পাওয়া যাবে চোর-ডাকাতদের পরিচয়। তবে, একটি চুরি কিংবা ডাকাতি ঘটনার জের দিয়ে এক শ্রেনী/সম্প্রদায়কে ডকুমেন্টেড চুরি-ডাকাতির ট্যাগ দিয়ে দেওয়া প্রশ্নের মুখে পড়বে কি না, সেটা জানা দরকার।