বিজয়ের মাস শেষ।
জয় বাংলা। জয় বাংলাদেশ।
অতৃপ্তি- স্বাধীনতা বিরোধী, রাজাকার, শান্তি কমিটির নেতা, গণহত্যায় নেতৃত্ব দেয়া রক্তে এখনো আস্থা রাখছি! তাদের ঘিরে আমাদের যতো উৎসব!
৭১ -এ তাদের বাবা, কাকাদের নির্যাতনের স্বীকার মানুষেরা ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন এখনো। তারা এখনো নির্যাতিত ওদের দ্বারা। এখনো কি আমরা খোঁজ নিতে পারি গণহত্যার শিকার পারিবার, মুক্তিযোদ্ধা, মহিলা মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজ নিতে পারি আমরা? খোঁজ নেই? দেশ স্বাধীনে স্বাজন হারানো মানুষের খবর রাখি আমরা? রাখি না। স্বাধীনতা বিরোধীদের আশ্রয়ে (বাধ্য হয়ে) তারা ঢুকরে কাদেন। নির্যাতিত হন। প্রতিবাদও করতে পারেন না।
অনেক জেলা, উপজেলা, গ্রাম মহল্লার স্বাধীনতা বিরোধীদের সম্পর্কে জানার সুযোগ হয়েছে। বিজয় মাস আসে, চলে যায়। ইচ্ছে থাকলেও নিজ এলাকার (গোলাপগঞ্জ, সিলেট) শান্তি কমিটির নেতা, রাজাকার, আল বদর, আল শামসদের জানতে পারিনি। এদের কেউ চেনেন না! তাদের উত্তরসূরিদের কেউ চেনেন না! যাক জানবো নিশ্চয়ই। একটু সময় লাগবে হয়তো।
আবার বিজয় মাস ফিরবে।
প্রত্যাশা, স্বাধীনতা বিরোধীদের রক্ত নেতৃত্ব থেকে মুক্ত হউক বাংলাদেশ। অন্তন একাত্তরে নেতৃত্ব দেয়া রাজনৈতিক দলটি যেনো শান্তি কমিটি (পাক বাহিনীর ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত), রাজাকার, আল বদর, আল শামস ও গণহত্যাকারিদের রক্তবাহি (সন্তান, নাতিপুতি) মুক্ত হয়।
❝প্রগতিশীল❞, ❝মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের❞ এমন ট্যাগ বহনকারী দল, সংগঠন, প্রতিষ্ঠান সমুহ মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি বিরোধিতা করা রাজনৈতিক দলের (জামায়াত) কর্মী মুক্ত হউক। প্রগতিশীলতার আশ্রয়ে ধর্মান্ধরাও চিহ্নিত হউক।
জয় বাংলা।