কুয়াশার চাঁদরে ঢেকে গেছে নির্বাচনী উত্তাপ।
বাঘার মালিকগণ (ভোটারগণ) গেল পনেরো বছরের উন্নয়নের জোয়ারে বলতে গেলে ভেসে গেছেন! ক্ষমতা দেখেছেন। জাতীয় নেতার ভূমিকায় মুগ্ধ হয়েছেন। নিভৃতে নিজের কোমর ভেঙেছেন, শহরে যেতে। অসুস্থ মানুষের জীবন সংকটেও জনাব জনপ্রতিনিধি কাজে আসতে পারেননি! কেন?
এতো বড় নেতাও কেন একটি মাত্র সড়কের ❝মাগুর চাষ❞ সিচুয়েশন পাল্টে দিতে পারলেন না? এই প্রশ্ন সবার মনে আছে। বলছি গাজী বুরহান উদ্দিন (রহ:) সড়কের ও বাঘা ইউনিয়নের মানুষের প্রাপ্তির কথা।
আলোচনাটা দীর্ঘ। কিন্তু সহজে যদি বলি বিষয়টা এমন হয়। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা যাকেই নির্বাচিত করি তিনি মূলত উন্নয়ন কর্তা নন। তিনি দেশ পরিচালনায় রাষ্ট্রের প্রয়োজনে আইন প্রনয়নের কাজ করবেন। মানে আইন প্রনেতা। সেটিই তার সাংবিধানিক দায়িত্ব। উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নে রাষ্ট্রের নানা বিভাগ, দপ্তর, সংস্থা রয়েছে। তারাই মূলত উন্নয়ন কাজ করে থাকে। তবে সংসদ সদস্যরা নিজ নির্বাচনি এলাকার উন্নয়নে উপদেষ্টার ভুমিকায় কোঠা ভিত্তিক কিছু কাজও করেন। সেটি খুবই উল্লেখযোগ্য কিছু নয়।
বিষয়টি দেশের মালিকরা জানেন। কিন্তু নির্বাচন আসলেই ভুলে যান। আইন প্রনেতা হতে উন্নয়ন অগ্রযাত্রার প্রতিশ্রুতিতে হারিয়ে যান। একদিনের ❝গণতন্ত্রে❞ নিজেকে সত্যিই দেশের মালিক ভাবতেই শান্তি পান। পরে গ্রাম থেকে শহরে যেতে কোমর ভাংগেন। সড়ক থাকতেও নদী পাড়ি দিয়ে নিরাপদ করেন যাত্রা। ১৫ বছর। একটি সড়ক। হিসেব কষে দেখতে পারেন। আরও দীর্ঘ করবেন?
আরেক ❝মূলা❞। বাঘা – গোলাপগঞ্জ সংযোগ সেতু। সেই ছোট বেলা থেকে শুনে আসছি। বাঘাবাসি বেশি বেশি মুলা খান, সমস্যা নেই। পরে যখন অযুহাতনামা আসতে শুরু করবে তখন হায় হায় করবেন না, আশা করি।