চিত্তে থুড়া? অতীত কুড়া।
আলু, কদু, মুলা চাষ করতো। স্থানীয় হাটে বিক্রি করতো। একটা মুরগির ডিম চার টুকরো করে জুলিয়ান কাট আলুর ঝুল রাধতো। সুখেই আহার করতো সবাই। ছেলে পুলুরা বন থেকে কাঠ সংগ্রহ করতো। ঘর প্রধানেরা উক্কা, তামাক, বিড়ি খাইতো। শীতের রাতে কম্বল ছিলো না, ছেড়া কাপড়ের উমে সকাল গুনতো। সূর্য আলো দিলে গায়ে মেখে একখানা কম্বলের স্বপ্ন দেখতো তারা। মানুষগুলো ভালোই ছিলো, ছিলো সরল।
দিন বদলে গেছে। তারা সেসব দিন ভুলে গেছে। এখন টাকা নয়; ডলার নাড়ায়। দম্ব নিয়ে ছড়ি ঘুরায় পাড়ায় পাড়ায়। তবে ছিন্ন হয়ে মূল হারিয়েছে। মাথায় এখনো চার ভাগের একখণ্ড ডিমের মগজ। চিত্তে আরো থুড়া।
অতীতটা ধরেই আগামী। যারা ধরে তারাই সুন্দর। তারা চিত্তে বিত্তে সমান হয়। যারা অতীত মুছে ফেলতে চায়; বুঝতে হবে গলদ আছে। যারা ইতিহাস মুছে ফেলতে চায়, বুঝতে হবে শেকড়ে ভেজাল আছে।
এখানে উল্লেখিত পেশা ছোট কিংবা বড় সেটা বিবেচনা অমূলক। যে যেখানেই যে পেশায় স্বাচ্ছন্দ বোধ করে সেটিই তার জন্য সুখকর। কিন্তু?
লেখা: জানুয়ারি ১৪, ২০২৩