shape
Published

February 16, 2024

No Comments

Join the Conversation

View

213 Views

জংলার সুর! কি মধুর! সুমধুর সুরে ভোর হয়। সন্ধ্যা মাতোয়ারা হয় সেই সুরের মূর্ছনায়। কান ভরে শুনি, কান পাততে হয় না। অচেনা সব শিল্পী। কন্ঠরাও নয়া। কিন্তু সুরগুলো বড় আপন, চেনা জানা। ঘুম ভাংগে তাদের গল্প-গানে।

আমি সময় গুনি সন্ধ্যার আসায়। দুপুর গড়িয়ে বিকেল। গানের মহড়া শুরু হয়। বাতাস ফুরায়, উত্তরের হাওয়া দক্ষিণে বয়। উম লাগা হাওয়ায় শীতলতা আসে। কিন্তু গানওয়ালাদের সুর ফুরায় না। তবু্ও অতৃপ্ত রই, জংলার বনবাসে।

বনে উড়ু মন প্রশান্তিতে ক্লান্ত হয়ে আসে। নির্জন নিস্তব্ধ রজনী কাটে বাতাসের গায়ে হেলান দিয়ে। বাতাসে গল্প উড়ে, সুর ভাসে। কতো সুর, কতো ভাষার কতো কথা। কখনো একলা, একা গায়। রাত গভীরে দুকলাও গায়। দলে দলে সুর মিলিয়ে কোরাসও গায়। বিরামহীন গেয়ে যায় গায়েনরা। তারা নাগরিক কোলাহল তোয়াক্কা করে না। শ্রোতাদের ভীড় প্রত্যাশা করে না। ক্লান্ত হয় না মোটেও। তারা শিল্পী, শিল্প বিলায়।

একলা এক শ্রোতা! আমার জংলায় বাস। পড়শী যারা, তারা পাখি, পশুও। জংলার বনবাসী। আমি গান শুনি, গল্পও।

ভালোবাসি গান, আপ্লুত হয় গল্পে। মধুরতম সুরের মায়ায় মাতম করি, নগর জংলায় বনবাসী হয়ে।

Author

Share On:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *