shape
Abdul Alim Shah February 16, 2024 No Comments

নগর জংলায় বনবাসী

জংলার সুর! কি মধুর! সুমধুর সুরে ভোর হয়। সন্ধ্যা মাতোয়ারা হয় সেই সুরের মূর্ছনায়। কান ভরে শুনি, কান পাততে হয় না। অচেনা সব শিল্পী। কন্ঠরাও নয়া। কিন্তু সুরগুলো বড় আপন, চেনা জানা। ঘুম ভাংগে তাদের গল্প-গানে। আমি সময় গুনি সন্ধ্যার আসায়। দুপুর গড়িয়ে বিকেল। গানের মহড়া শুরু হয়। বাতাস ফুরায়, উত্তরের হাওয়া দক্ষিণে বয়। উম লাগা হাওয়ায় শীতলতা আসে। কিন্তু গানওয়ালাদের সুর ফুরায় না। তবু্ও অতৃপ্ত রই, জংলার বনবাসে। বনে উড়ু মন প্রশান্তিতে ক্লান্ত হয়ে আসে। নির্জন নিস্তব্ধ রজনী কাটে বাতাসের গায়ে হেলান দিয়ে। বাতাসে গল্প উড়ে, সুর ভাসে। কতো সুর, কতো ভাষার কতো কথা। কখনো একলা, একা গায়। রাত গভীরে দুকলাও গায়। দলে দলে সুর মিলিয়ে কোরাসও গায়। বিরামহীন গেয়ে যায় গায়েনরা। তারা নাগরিক কোলাহল তোয়াক্কা করে না। শ্রোতাদের ভীড় প্রত্যাশা করে না। ক্লান্ত হয় না মোটেও। তারা শিল্পী, শিল্প বিলায়। একলা এক শ্রোতা! আমার জংলায় বাস। পড়শী যারা, তারা পাখি, পশুও। জংলার বনবাসী। আমি গান শুনি, গল্পও। ভালোবাসি গান, আপ্লুত হয় গল্পে। মধুরতম সুরের মায়ায় মাতম করি, নগর জংলায় বনবাসী হয়ে।

Abdul Alim Shah February 14, 2024 No Comments

শোকের জোয়ার, ভাটায় সুখ

একটা সায়র আছে, জল হীন। যেখানে শোকে জোয়ার আসে, ভাটায় সুখ। ভালোবাসি কি জানি? যদি না বলি তবে, হয়তো এখনো বুঝিনি। জীবনের সূচিতে দিন ধরে হয়তো ভালোবাসা হয়নি। শনিবারের ভালো লাগা বুঝতে হয়েছে শুক্রবার। জনের ভালোবাসা কতোজনে ঠেকেছে? ক্ষনে-খানে ভালোবাসা হারিয়েছে। আটকে আছে আলো, জোছনায়। ভালোবাসার দেনা আছে। পাওনাও কম না। সুদ, আসল, লাভের হিসেবে গরমিল আছে। এখনো ভালোবাসা কিসে, বুঝিনি। তার আগেই হয়তো সময়ের হিসেব মিলে যাবে। ভালোবাসার ঋন সুধিবার সুযোগ ফুরিয়ে যাবে। হৃদ উঠান থেকে উড়ান দেবে দম। মিশে যাবে সময়ে, শনি থেকে শুক্রবারে। হয়তো পৌষ কিংবা মাঘে। অথবা বারিষায়। মা ছেড়ে মিলে যাবো মাটিতে। তখনো ভালোবাসা ভিক্ষে পাবো জনের জানে, ক্ষনে-খানে। ভালোবাসা সবার জন্য।, আমার জন্যে

সময়ের কিনারে, পড়ে গেলেই সমাধিস্থ হবো স্মৃতি সহ

ভোর হতো তাদের গল্প শুনে। ভালোবাসার গান শুনে। জানলার পাশে আতা ফলের গাছ। পাঁকা আতার পাশে বসেই মিষ্টি কন্ঠে সুর বাঁধতো তারা। একটি সুখি পারিবার। ঘরের কার্নিশে বসতি ছিলো ক’টি টুনটুন পরিবারের। তারাও জাগতো সুরে লয়ে। সুরে উত্তাল আধারি উঠান। কথনো মধুর, কখনো রাগ বইয়ে যেতো তাদের গান-সুরে। ভাষাভাষি না হওয়ায় সেটি অনুমান করা যেতো না। তবে মনে হতো সংসার জীবনের কষ্ট বেদনার গানও গাইতো তারা। ভালোবাসার মিষ্টি আলাপ তো হতোই। পশ্বিমে হাওর, পূবে বিল। দক্ষিনে নদী, উত্তরে টিলা পাহাড়ের গাওয়ে আমার বসত টিলার ভোর-সকালের সাথি ছিলো তারা। স্বজন বলতে ছিলো- লাল কাঠাল, সাদা কাঠাল, জারুল, দীর্ঘদেহি চাউর আর চাটনী গাছ। বাতাশের গায়ে বাঁশি বাজানো বাঁশ বাগান ছিলো বাড়তি উম্মাদনার। ভোর থেকে রাত, সারাবেলার আবহ সঙ্গিতালয়। মুধুরতম সেইসব ভোর-সকালের গল্পের সাক্ষি এখনো ভোরের রি রি বাতাস।  বসতির মানুষেরা তখনো ঘুমিয়ে। পাখিদের সুরের মুর্ছনায় ঘুম পর্বের সমাপ্তি টানবো সবাই। গল্প-গানের মধুরতায় আমাদের ঘুম ভাঙ্গতো না, কিন্ত হৃদয় জাগতো। কতো গান। কতো গল্প। মক্তবের মুয়াজ্জিন চুঙ্গায় আজানের ধ্বনি ফুকেননি, পাল বাড়ির পূজোর ঘন্টা বাঝেনি তখনো। কিন্তু গান-গল্পের সুরে  জলসায় ঘরে পরিনত টিলা বাড়িটি। মানুষ, গাছ, পাখি আর তাদের গান-গল্পের ভোরটা এমনই ছিলো। মুধুরতম সেইসব ভোর-সকালের স্বাক্ষী এখনো সূর্য্যালোক। ভোরের আধোয়ালোয় পূব দেওয়ারের দীর্ঘ চাটনী গাছের পাতারা কুয়াশার জলে শীতে কাঁপাতো। হালকা সবুজ, নুয়ে পড়া পাতাদের সকাল হতো পূবালি আলোর ছুঁয়ায়। রাত জেগে এগাছ, ওগাছ থেকে ফলাদি খেয়ে বেড়ানো ক্লান্ত পাখিরা তখন ঘরে ফেরায় ব্যস্ত হয়ে পড়তো। দলে দলে, জোড়ায় জোড়ায় তরস্ত ড়ে যাওয়ার শব্দ শোনা যেতো ঘুম ঘর থেকে। তখনো আমরা জাগিনি। মুধুরতম সেইসব ভোর-সকালের গল্প এখনো ফকির বাড়ির মাটিতে জমা আছে। ভুল পড়ছে কেবল স্মৃতিতে। গ্রাম্য সরল মানুষ গুলোর অনেকে এখন নগরে থাকি। নগরে ঘুমাই। জাগি যাতি-যন্ত্রের শব্দের বিকট শব্দে। এখন আমরা সুখের ‘নাগরিক’। বছরে কখনো সখনো হয়তো পাখি দেখি, গান শুনিই না। পাখির গানে ঘুম ভাঙ্গার অভ্যেস সেকেলে হয়েছে সেই কবে। সিসা যুক্ত বাতাসে ভোরের আলো ফুটে এখন। মুয়াজ্জিনের আজানের ধ্বনি শুনি বিকট শব্দে, বৈদ্যুতিক মাইকে! আজানের চুঙ্গা এখন যাদু ধরেও নেই, অনুমান। সুখ স্মৃতিরা কেবল দূরের বরফ পাহাড়ে চাপা পড়ছে। আর আমরা হারিয়ে যাচ্ছি সময়ের কিনারে। পড়ে গেলেই সমাধিস্থ হবো, মুধুরতম সেইসব ভোর-সকালের গল্প সহ। ফকির পাড়া, দক্ষিণ বাঘা, বাঘা, গোলাপগঞ্জ, সিলেট

প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর সাথে লিবিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি’র সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত H.E. Abdulmutalib S M Suliman -এর সৌজন্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টায় সচিবালয়ের দপ্তরে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীর সাথে লিবিয়ার রাষ্ট্রদূতের এই সৌজন্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ রুহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত তার সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের নতুন সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান এবং দু’দেশের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকবে বলে প্রত্যাশা করেন। বৈঠকে উভয়পক্ষ দু-দেশের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সৌহাদ্য-সম্প্রীতি, সুষ্ঠু-সুশৃঙ্খল ও দায়িত্বশীল অভিবাসন, মানব পাচারের প্রতিরোধ, অনিয়মিত অভিবাসনকে নিরুৎসাহিতকরণ সহ লিবিয়ার শ্রমবাজারে বাংলাদেশের কর্মী প্রেরণ বিষয়ে আলোচনা করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি/২২ জানুয়ারি ২০২৪

প্রবাসিদের স্মার্ট ব্যাংকিং সেবা দিতে হবে

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু সারাজীবন শুধু স্বাধীনতার জন্যই সংগ্রাম করেন নি, তিনি সদ্য স্বাধীন দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করার জন্য কাজ করেছেন। তিনি অর্থনৈতিক স্বাধীনতার জন্য আর্থিক খাতকে একটি শক্ত ভিতের উপর দাড় করিয়ে দিয়ে গেছেন। তারই কন্যার হাত ধরে বাংলাদেশ আজ সমৃদ্ধির সোপানে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী আজ সকালে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। এতে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মুজিবর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রণালয়ে সচিব মোঃ রুহুল আমিন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক স্বপ্ন নিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আমাদের সবাইকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারকে স্মার্ট ব্যাংকিং সেবা দিতে হবে।  প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ রুহুল আমিন বলেন, বঙ্গবন্ধু সর্বদা মানুষের কথা ভাবতেন। গরীব-দুঃখী মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নের জন্য কাজ করতেন। তিনি আরো বলেন, আমরা যদি আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করি ও সেবা প্রদান করি তাহলে বঙ্গবন্ধুর চেতনা বাস্তবায়ন করা হবে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের তিনি বঙ্গবন্ধুর চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সেবাগ্রহীতাদের নিকট দ্রুততার সাথে কাঙ্খিত সেবা পৌঁছে দিতে হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি/১৮ জানুয়ারি ২০২৪

বিদেশগামীদের ভাষাগত দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে

প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, বৈদেশিক কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে গন্তব্য দেশের ভাষা জানা খুবই জরুরি। বিদেশগামী কর্মীদের ভাষা প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। যেসব দেশে আমাদের কর্মী প্রেরণের সুযোগ আছে, সেসব দেশের ভাষা প্রশিক্ষণের বিষয়টি অগ্রাধিকার দিতে হবে। প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, প্রতি বছর আমাদের কর্মী যাওয়ার সংখ্যা বাড়ছে, সেই অনুপাতে রেমিট্যান্স বৃদ্ধির লক্ষ্যে কি কি করা যায় তা নিয়ে কর্ম পরিকল্পনা তৈরি ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি বলেন, রেমিট্যান্স বাড়াতে হলে সর্বাগ্রে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।  প্রশিক্ষণের মানের বিষয়ে কোনো ছাড় নেই উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ কর্মী গড়ে তুলতে হবে। বিদেশগামী কর্মীদেরকে দক্ষ ও স্মার্ট মানবসম্পদে রূপান্তরিত হবে। দক্ষ ও স্মার্ট মানবসম্পদই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে। আজ সকালে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)’র সভাকক্ষে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিএমইটি’র মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফরের সভাপত্বি বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ রুহুল আমিন। সচিব বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে বৈদেশিক কর্মসংস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবছর ১০-১২ লাখ লোক বৈদেশিক শ্রমবাজারে কর্মসংস্থান লাভ করছে। সরকার অভিবাসন ব্যয় যৌক্তিক পর্যায়ে কমানোর লক্ষ্যে কাজ করছে। তিনি আরো বলেন, আমরা চাই প্রত্যেক প্রবাসী কর্মীর নিরাপদ কর্মসংস্থান নিশ্চিত হোক।  এরপর প্রতিমন্ত্রীর সাথে NRB CIP Association এর সভাপতি মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান ও মোহাম্মদ ইয়াছিন চৌধুরী’র নেতৃত্বে NRB CIP Association এর নেতৃবৃন্দ এবং বায়রা’র সভাপতি মোঃ আবুল বাশার ও মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হায়দার চৌধুরী’র নেতৃত্বে বায়রা’র নেতৃবৃন্দ ফুলেল শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি/১৭ জানুয়ারি ২০২৪

বীর মুক্তিযোদ্ধা তোতা মিয়া আর নেই

বীর মুক্তিযোদ্ধা তোতা মিয়া চলে গেলেন। আপনার জন্ম মাটি নিয়ে স্বপ্নগুলো থেকে গেল। বীরের বিদায়ে শোকাহত। সমবেদনা জানাচ্ছি পরিবারের প্রতি।  তিনি দীর্ঘদিন যাবত দুরারোগ্য ক্যান্সারে ভোগছিলেন। আমি ছাড়া এই ছবির বাকি সবাই নেই! কিন্তু হয়তো কোথাও কোনভাবে আছেন তারা। ভালো থাকবেন যে যেখানে আছেন। একদিন আমিও তাদের দলে যোগ দিবো। হয়তো অন্য কেউ এই ছবিটি পোস্ট দিয়ে বলবে এদের কেউ আর বাকি নেই।

অতীতই পাথেয়

চিত্তে থুড়া? অতীত কুড়া। আলু, কদু, মুলা চাষ করতো। স্থানীয় হাটে বিক্রি করতো। একটা মুরগির ডিম চার টুকরো করে জুলিয়ান কাট আলুর ঝুল রাধতো। সুখেই আহার করতো সবাই। ছেলে পুলুরা বন থেকে কাঠ সংগ্রহ করতো। ঘর প্রধানেরা উক্কা, তামাক, বিড়ি খাইতো। শীতের রাতে কম্বল ছিলো না, ছেড়া কাপড়ের উমে সকাল গুনতো। সূর্য আলো দিলে গায়ে মেখে একখানা কম্বলের স্বপ্ন দেখতো তারা। মানুষগুলো ভালোই ছিলো, ছিলো সরল। দিন বদলে গেছে। তারা সেসব দিন ভুলে গেছে। এখন টাকা নয়; ডলার নাড়ায়। দম্ব নিয়ে ছড়ি ঘুরায় পাড়ায় পাড়ায়। তবে ছিন্ন হয়ে মূল হারিয়েছে। মাথায় এখনো চার ভাগের একখণ্ড ডিমের মগজ। চিত্তে আরো থুড়া। অতীতটা ধরেই আগামী। যারা ধরে তারাই সুন্দর। তারা চিত্তে বিত্তে সমান হয়। যারা অতীত মুছে ফেলতে চায়; বুঝতে হবে গলদ আছে। যারা ইতিহাস মুছে ফেলতে চায়, বুঝতে হবে শেকড়ে ভেজাল আছে। এখানে উল্লেখিত পেশা ছোট কিংবা বড় সেটা বিবেচনা অমূলক। যে যেখানেই যে পেশায় স্বাচ্ছন্দ বোধ করে সেটিই তার জন্য সুখকর। কিন্তু? লেখা: জানুয়ারি ১৪, ২০২৩

অযুহাতনামায় হতাশ হবেন কেন?

কুয়াশার চাঁদরে ঢেকে গেছে নির্বাচনী উত্তাপ। বাঘার মালিকগণ (ভোটারগণ) গেল পনেরো বছরের উন্নয়নের জোয়ারে বলতে গেলে ভেসে গেছেন! ক্ষমতা দেখেছেন। জাতীয় নেতার ভূমিকায় মুগ্ধ হয়েছেন। নিভৃতে নিজের কোমর ভেঙেছেন, শহরে যেতে। অসুস্থ মানুষের জীবন সংকটেও জনাব জনপ্রতিনিধি কাজে আসতে পারেননি! কেন? এতো বড় নেতাও কেন একটি মাত্র সড়কের ❝মাগুর চাষ❞ সিচুয়েশন পাল্টে দিতে পারলেন না? এই প্রশ্ন সবার মনে আছে। বলছি গাজী বুরহান উদ্দিন (রহ:) সড়কের ও বাঘা ইউনিয়নের মানুষের প্রাপ্তির কথা। আলোচনাটা দীর্ঘ। কিন্তু সহজে যদি বলি বিষয়টা এমন হয়। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা যাকেই নির্বাচিত করি তিনি মূলত উন্নয়ন কর্তা নন। তিনি দেশ পরিচালনায় রাষ্ট্রের প্রয়োজনে আইন প্রনয়নের কাজ করবেন। মানে আইন প্রনেতা। সেটিই তার সাংবিধানিক দায়িত্ব। উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নে রাষ্ট্রের নানা বিভাগ, দপ্তর, সংস্থা রয়েছে। তারাই মূলত উন্নয়ন কাজ করে থাকে। তবে সংসদ সদস্যরা নিজ নির্বাচনি এলাকার উন্নয়নে উপদেষ্টার ভুমিকায় কোঠা ভিত্তিক কিছু কাজও করেন। সেটি খুবই উল্লেখযোগ্য কিছু নয়। বিষয়টি দেশের মালিকরা জানেন। কিন্তু নির্বাচন আসলেই ভুলে যান। আইন প্রনেতা হতে উন্নয়ন অগ্রযাত্রার প্রতিশ্রুতিতে হারিয়ে যান। একদিনের ❝গণতন্ত্রে❞ নিজেকে সত্যিই দেশের মালিক ভাবতেই শান্তি পান। পরে গ্রাম থেকে শহরে যেতে কোমর ভাংগেন। সড়ক থাকতেও নদী পাড়ি দিয়ে নিরাপদ করেন যাত্রা। ১৫ বছর। একটি সড়ক। হিসেব কষে দেখতে পারেন। আরও দীর্ঘ করবেন? আরেক ❝মূলা❞। বাঘা – গোলাপগঞ্জ সংযোগ সেতু। সেই ছোট বেলা থেকে শুনে আসছি। বাঘাবাসি বেশি বেশি মুলা খান, সমস্যা নেই। পরে যখন অযুহাতনামা আসতে শুরু করবে তখন হায় হায় করবেন না, আশা করি।

Abdul Alim Shah December 31, 2023 No Comments

তরী বাইছি…

দিন যাচ্ছে। কর্ম বদলাচ্ছে। শরিরের ঘর বানাচ্ছে পিঞ্জর কাটা রোগ। বাহু বল কমছে, পা ফেলতে চচ্ছে নিকাশ করে। মাপঝোঁক লাগছে খাবারে। শুয়া বসায় হিসেব। হাটা চলায়ও তাই। সীমিত হচ্ছে সামাজিকতা। কমছে আড্ডার সময়।কমছে আলাপের মানুষ। একই শহরে, একই পাড়ায় থাকছি। কিন্তু দেখা হচ্ছে না। যারা দেশ থেকে দূরে আছে তাদের সাথে সময়ের ব্যবধানে যোগাযোগ নিয়মিত হচ্ছে না। সময় কারাগারে আটকে আছি আমি, আমার যতো বান্ধব। এসবের ফিরিস্ত দিনে দিনে আরও দীর্ঘ হবে। হচ্ছেও তাই। যাক ভালো আছি। সবাই ভালো থেকো এই বেশ। জীবনের তরী নিয়ে শেষ ‘বিশ’ -এ বাইছি সায়রে, সাগরে। কখনো টিলা পাহাড়ে। হইয়্যা হু, হইয়্যা। চলুক। নয়া বছরে সবার জন্য শুভকামনা। যে যেখানে আছো/আছেন- ভালো থাকো/থাকবেন। শুভ ইংরেজি নববর্ষ ২০২৪। #happynewyear2024